নগদ একাউন্ট নেই এমন নাম্বারে টাকা গেলে করণীয় কী এবং কিভাবে ভুল নগদ নাম্বারে টাকা সেন্ড করলে সেটি ফেরত আনতে হয় এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পারবেন এই পোস্টে।
নগদ একাউন্ট নেই এমন নাম্বারে টাকা সেন্ড করলে কিভাবে ফেরত আনতে হয় অনেকেই জানেন না। এছাড়া, অনেকেই ভুল নগদ নাম্বারে টাকা সেন্ড করেন। কিভাবে এই সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পাবেন এই বিষয়গুলো নিয়েই আজ বিস্তারিত আলোচনা করবো এই পোস্টে।
তো চলুন, নগদ একাউন্ট নেই এমন নাম্বারে টাকা গেলে করণীয় কী এবং কিভাবে ভুল নাম্বারে যাওয়া টাকা ফেরত আনতে হয় এই বিষয়গুলো নিয়ে বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক।
Table of Contents
নগদ একাউন্ট নেই এমন নাম্বারে টাকা গেলে করণীয়
নগদ একাউন্ট নেই এমন নাম্বাড়ে টাকা গেলে করণীয় হচ্ছে নগদের হেল্পসেন্টারে কল করা। কল করার পর আপনি ভুল করে যে নাম্বারে টাকা সেন্ড করেছেন, সেই নাম্বার দিতে হবে এবং তাদেরকে জানাতে হবে যে আপনি ভুল করে উক্ত নাম্বারে টাকা সেন্ড করেছেন।
এরপর, তারা আপনার অভিযোগ গ্রহণ করবে। এছাড়া, নিকটস্থ থানায় জিডি করার পর জিডির কপি সঙ্গে নিয়ে নগদ কাস্টমার কেয়ারে যেতে হবে। অতঃপর, তাদেরকে পুরো বিষয়টি বলতে হবে। তাহলে, তারা আপনার অভিযোগের বিষয়টি যাচাই করবেন। যাচাই করে সত্য প্রমাণিত হলে উক্ত নগদ একাউন্ট সাময়িক সময়ের জন্য লক করে দেয়া হবে।
যে নাম্বারে টাকা সেন্ড করেছেন, সেই নাম্বার যে ব্যক্তির, তার সাথে যোগাযোগ করে তাকে উক্ত লেনদেনের প্রমাণ দেখাতে বলা হবে। যদি প্রমাণ দিতে না পারে, তাহলে আপনার টাকা ফেরত দেয়া হবে। এভাবে, নগদ একাউন্ট নেই এমন নাম্বারে টাকা গেলে সহজেই ফেরত নিয়ে আসতে পারবেন।
নন নগদ নাম্বারে ভুল করে টাকা গেলে করণীয়
একটি নাম্বারে নগদ থেকে টাকা সেন্ড মানি করতে গেলেন, কিন্তু ভুল করে অন্য একটি নাম্বারে টাকা সেন্ড করে ফেললেন। যে নাম্বারে ভুল করে টাকা সেন্ড করেছেন, দেখা গেলো সেই নাম্বারে নগদ একাউন্ট নেই। এখন এই টাকা ফেরত পাবেন কিভাবে?
নগদ একাউন্ট নেই এমন নাম্বারে ভুল করে টাকা সেন্ড কর ফেললে তা ফেরত আনা সহজ। এজন্য, নগদের হেল্পসেন্টার 16167 নাম্বারে কল করতে হবে। কল দেয়ার পর তাদেরকে জানাতে হবে যে আপনি ভুল করে একটি নগদ নাম্বারে টাকা সেন্ড করেছেন।
যে নাম্বারে টাকা সেন্ড করছেন সেই নাম্বারটি তাদেরকে দিতে হবে। সাথে, আপনি কত টাকা ভুল করে সেন্ড করেছেন সেটিও জানাতে হবে। সাথে, লেনদেন সম্পর্কিত অন্যান্য তথ্য যেমন – কবে এবং কখন টাকা সেন্ড করেছেন সেসব জানাতে হবে।
এরপর, তারা আপনার অভিযোগের বিষয়টি বিবেচনা করবে। যদি সত্য প্রমাণিত হয়, তাহলে আপনার টাকাটি আবারও ফেরত দেয়া হবে। এই পদ্ধতি অনুসরণ করার মাধ্যমে ভুল করে অন্য নাম্বারে টাকা সেন্ড করলে তা ফেরত নিয়ে আসতে পারবেন।
তবে, আপনি যে নাম্বারে ভুল করে টাকা সেন্ড করেছেন, সেই নাম্বারে যদি নগদ একাউন্ট থাকে কিভাবে সেই টাকা ফেরত আনতে হবে সেটি জানেন? না জেনে থাকলে নিচে থেকে বিস্তারিত জেনে নিতে পারেন এই বিষয়ে।
আরও পড়ুন —
নগদ ভুল নাম্বারে টাকা গেলে করণীয়
নগদ ভুল নাম্বারে টাকা গেলে নগদ হেল্পসেন্টার 16167 নাম্বারে কল করতে হবে। এরপর, কাস্টমার প্রতিনিধির সাথে কথা বলে তাদেরকে জানাতে হবে যে আপনি ভুল করে একটি নগদ নাম্বারে টাকা সেন্ড করে দিয়েছেন। অতঃপর, তারা উক্ত নাম্বার এবং কত টাকা সেন্ড করেছেন সেটি জানতে চাইবে। তাদেরকে সঠিক তথ্য দিতে হবে।
এসব তথ্য দেয়ার পর আপনার অভিযোগটি গ্রহণ করবে। কিন্তু, আপনাকে একটি জিডি করতে বলা হবে। থানায় গিয়ে একটি জিডি করতে হবে এই মর্মে যে, আপনি ভুল করে একটি নগদ নাম্বারে টাকা সেন্ড করেছেন। কোন নাম্বারে টাকা সেন্ড করেছেন এবং কত টাকা সেন্ড করেছেন এসব বিষয় উল্লেখ করে জিডি করতে হবে।
জিডি করা হলে জিডির একটি কপি সংগ্রহ করতে হবে। অতঃপর, উক্ত কপিটি সাথে নিয়ে নগদের কাস্টমার কেয়ারে যেতে হবে এবং আপনার অভিযোগের বিষয়টি জানিয়ে তাদেরকে জিডির কপিটি জমা দিতে হবে। এরপর, তারা সবকিছু যাচাই করে যে নাম্বারে টাকা সেন্ড করেছেন, সেই নাম্বারে থাকা নগদ একাউন্ট লক করে দিবেন।
এতে করে, ওই নাম্বারে থাকা নগদ একাউন্ট দিয়ে আর লেনদেন করা যাবেনা এবং আপনার টাকা আর বের করতে পারবে না। তারপর, ওই নাম্বারের মালিককে লেনদেনের প্রমাণ দিতে বলা হবে। প্রমাণ দিতে সক্ষম না হলে আপনার টাকা ফেরত দিয়ে দেয়া হবে।
এই পদ্ধতি অনুসরণ করার মাধ্যমে ভুল নগদ নাম্বারে টাকা সেন্ড করলে তা ফেরত নিয়ে আসতে পারবেন।
বিকাশের মতো ভুল করে নগদ একাউন্ট নেই এমন নাম্বারে টাকা সেন্ড করলে সেটি ফেরত নিয়ে আসার কোনো সুযোগ নেই। কারণ, নগদ অ্যাপ থেকে লেনদেন বাতিল করা যায়না। তাই, বিকাশে যেমন একাউন্ট না থাকা নাম্বারে টাকা সেন্ড করলেও তা সেন্ড মানি অপশন থেকে বাতিল করা যায়, নগদে এমন কোনো সুযোগ নেই।
ভুল নম্বরে টাকা চলে গেলে ফেরত পাবেন যেভাবে
ভুল নম্বরে টাকা চলে গেলে যার নাম্বারে টাকা গেছে, তাকে ফোন দেয়া যাবেনা। আপনি যে নাম্বারে টাকা সেন্ড করেছেন, উক্ত নাম্বার এবং কত টাকা সেন্ড করেছেন এসব বিষয় কাস্টমার কেয়ারে কল দিয়ে জানাতে হবে। বিকাশের ক্ষেত্রে 16247 এবং নগদের ক্ষেত্রে 16167 নাম্বারে কল দিয়ে জানাতে হবে।
অতঃপর, যে নাম্বারে টাকা সেন্ড করেছেন সেটি, টাকার পরিমাণ, ট্রানজেকশন আইডি ইত্যাদি তথ্য নিয়ে একটি জিডি করতে হবে। জিডির কপি নিয়ে বিকাশ/নগদের কাস্টমার কেয়ারে জমা দিতে হবে। অতঃপর, তারা অ্যাকশন নেয়ার মাধ্যমে আপনার টাকা উদ্ধার করে দিবেন।
যদি ভুল নাম্বারে টাকা চলে গেলে আপনি উক্ত নাম্বারে কল করেন, তাহলে উক্ত ব্যক্তি টাকা উঠিয়ে নিতে পারে। বিকাশ/নগদ একাউন্ট না থাকলে, একাউন্ট খুললে টাকা তার একাউন্টে ঢুকে যাবে, এরপর টাকা তুলে নিতে পারবে। তাই, আগে ফোন না দিয়ে জিডি করুন এবং অভিযোগ করুন।
এতে করে, তার একাউন্টটি লক করে দেয়া হবে। লক করে দেয়া হলে তিনি আর টাকা বের করতে পারবেন না বা লেনদেন করতে পারবেন না। লেনদেনের প্রমাণ চাওয়া হবে উক্ত ব্যক্তির কাছে। দিতে না পারলে আপনার টাকা আবারও আপনার একাউন্টে ফেরত দিয়ে দেয়া হবে।
যদি উক্ত ব্যক্তি টাকা তুলে ফেলে, তাহলে পুলিশের সহযোগিতা নিয়ে টাকা ফেরত নেয়ার চেষ্টা করতে হবে। এছাড়া, নগদ বা বিকাশ থেকে আপনার টাকা ফেরত দিতে পারবেনা। তাই, এই পদ্ধতি অনুসরণ করুন যদি আপনি ভুল করে টাকা সেন্ড করে থাকেন।
নগদ একাউন্ট না থাকলে কি টাকা পাঠানো যায়?
নগদ একাউন্ট না থাকলেও আপনি টাকা পাঠাতে পারবেন। উক্ত নাম্বারে নগদ একাউন্ট রেজিস্টার করা হলে টাকাটি তার একাউন্টে ঢুকে যাবে। যদি ভুল করে নগদ একাউন্ট নেই এমন নাম্বারে টাকা সেন্ড করে ফেলেন, তাহলে নগদ কাস্টমার কেয়ারে অভিযোগ করতে হবে। এছাড়া, জিডি করতে হবে এবং লিগ্যাল অ্যাকশন নিতেহবে।
শেষ কথা
আজকের এই পোস্টে নগদ একাউন্ট নেই এমন নাম্বারে টাকা গেলে করণীয় কী এই বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। যদি ভুল করে একটি নগদ নাম্বারে টাকা সেন্ড করে ফেলেন, তাহলে কিভাবে আপনার টাকা ফেরত নিবেন সেটিও জানতে পারবেন এই পোস্টের মাধ্যমে।
এছাড়া, আমাদের ওয়েবসাইটে বিভিন্ন ব্যাংকের একাউন্ট চেক করার নিয়ম, একাউন্ট খোলার নিয়ম এবং ব্যাংকিং সংক্রান্ত বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রকাশ করা হয়ে থাকে। ব্যাংকিং, ব্যাংক লোন এবং মোবাইল ব্যাংকিং সংক্রান্ত তথ্য জানতে ওয়েবসাইটটি সম্পূর্ণ ঘুরে দেখার আমন্ত্রণ রইলো।