নগদ একাউন্ট লক হয়ে গেছে? লেনদেন করতে পারছেন না? নগদ একাউন্ট লক হলে করণীয় কী এবং কিভবে লক হওয়া একাউন্ট আনলক করতে হয় জানতে পারবেন এই পোস্টে।
নগদ একাউন্ট ব্যবহার করে লেনদেন করার সময় পিন কোড ভুল করে তিনবার এন্টার করলে একাউন্ট লক হয়ে যায়। নগদ একাউন্ট লক হয়ে গেলে কোনো ধরনের লেনদেন করা যায়না। এই সমস্যায় পড়লে কীভাবে সমাধান করতে পারবেন এই বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পারবেন এই পোস্টে।
তো চলুন, নগদ একাউন্ট লক হলে করণীয় কি এবং কিভাবে লক হওয়া নগদ একাউন্ট আনলক করতে হয় এই বিষয়ে বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক।
Table of Contents
নগদ একাউন্ট লক হলে করনীয়
নগদ একাউন্ট লক হলে নগদ কাস্টমার কেয়ারে কল দিতে হবে এবং আপনার একাউন্ট লক হয়ে গেছে সেটি জানাতে হবে। এরপর, তারা আপনার থেকে নগদ একাউন্ট রেজিস্টার করার এনআইডি কার্ডের নাম্বার জানতে চাইবে। এছাড়াও, উক্ত নগদ একাউন্ট যে এনআইডি দিয়ে রেজিস্টার করা হয়েছে সেটিতে থাকা পিতা-মাতার নাম এবং জন্ম তারিখ জানতে চাইতে পারে।
এই তথ্যগুলো দেয়ার পর তারা আপনার একাউন্টটি আনলক করে দিবে। অতঃপর, নগদ একাউন্ট ডায়াল কোড *167# ডায়াল করে নতুন পিন সেট করার মাধ্যমে আপনার নগদ একাউন্ট আনলক করে নতুন পিন সেট করে নিতে পারবেন। ফলে, আপনি আবারও নতুন সেট করা পিন দিয়ে নগদ একাউন্ট ব্যবহার করে লেনদেন করতে পারবেন।
নগদ একাউন্ট দিয়ে লেনদেন করার সময় ভুল করে ৩ বার পিন এন্টার করলে একাউন্ট লক হয়ে যায়। পিন ভুলে গেলে বারবার ভুল পিন এন্টার করা থেকে বিরত থাকতে হবে। নয়তো একাউন্ট লক হয়ে যাবে। একাউন্ট লক হওয়ার আগে পিন মনে করার চেষ্টা করুন।
যদি একাউন্ট লক হয়ে যায়, তাহলে উপরে উল্লিখিত পদ্ধতিটি অনুসরণ করুন। যদিও এই পদ্ধতিটি নিয়ে আমরা আরও বিস্তারিত আলোচনা করবো।
নগদ একাউন্ট লক খোলার নিয়ম
নগদ একাউন্ট দিয়ে লেনদেন করার সময় ৩ বার ভুল পিন এন্টার করলে একাউন্ট লক হয়ে যায়। নগদ একাউন্ট লক হলে আমরা যেসব পদ্ধতি অনুসরণ করে একাউন্ট আনলক করতে পারবো, সেগুলো নিয়ে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
হেল্পসেন্টারে কল দিয়ে নগদ একাউন্ট আনলক করুন
নগদ একাউন্ট লক হয়ে গেলে নগদ হেল্পসেন্টার 16167 নাম্বারে কল দিয়ে সমস্যার কথাটি বিস্তারিত জানানোর মাধ্যমে আমাদের নগদ একাউন্ট আনলক করে নিতে পারবো। নিচে উল্লিখিত ধাপগুলো অনুসরণ করলে আপনার লক একাউন্টটি আনলক করে নিতে পারবেন।
- প্রথমেই নগদ হেল্পসেন্টার 16167 নাম্বারে কল করুন
- একজন কাস্টমার প্রতিনিধির সাথে কথা বলুন এবং তাকে জানান আপনার একাউন্ট লক হয়ে গেছে
- তিনি আপনার সমস্যার কথাটি শুনে বেশ কিছু তথ্য জানতে চাইবে
- আপনার নগদ একাউন্টটি যে এনআইডি কার্ড দিয়ে রেজিস্টার করা হয়েছে সেটির নাম্বার
- উক্ত এনআইডিতে থাকা জন্ম তারিখ, পিতা-মাতার নাম ইত্যাদি তথ্য জানাতে হবে
- আপনার নগদ একাউন্ট দিয়ে করা সর্বশেষ লেনদেনের পরিমাণ তাদেরকে জানাতে হবে
- এই তথ্যগুলো দেয়ার পর তারা আপনার একাউন্টটি আনলক করে দিবে এবং একটি এসএমএস এর মাধ্যমে জানিয়ে দেয়া হবে।
- এসএমএস এর মাধ্যমে জানিয়ে দেয়া হলে *167# কোডটি ডায়াল করার পর নতুন পিন সেট করার অপশন পাবেন। নতুন একটি পিন সেট করে নিবেন।
নতুন পিন সেট করার পর আবারও আগের মতো নগদ একাউন্ট দিয়ে লেনদেন করতে পারবেন। এই পদ্ধতি অনুসরণ করার মাধ্যমে ঘরে বসে নগদ একাউন্ট আনলক করতে পারবেন। পিন নাম্বার ভুল করে এন্টার করার মাধ্যমে একাউন্ট লক হয়ে গেলে এই পদ্ধতি অনুসরণ করুন।
এছাড়া, আপনার একাউন্ট যদি লক হয়ে যায়, সরাসরি কাস্টমার কেয়ারে গিয়েও একাউন্ট আনলক করে নিতে পারবেন। এজন্য, নিম্নোক্ত ধাপগুলো অনুসরণ করুন।
কাস্টমার কেয়ারে গিয়ে নগদ একাউন্ট আনলক করুন
আপনার নগদ একাউন্ট যদি ভুল পিন এন্টার করার কারণে লক হয়ে থাকে, তাহলে নগদ কাস্টমার কেয়ারে যেতে হবে। এরপর, তাদেরকে জানাতে হবে যে আপনার নগদ একাউন্টটি লক হয়ে গেছে। এরপর, তারা আপনার থেকে উক্ত নগদ একাউন্ট সম্পর্কিত বেশ কিছু তথ্য জানতে চাইবে।
নগদ একাউন্টটি আপনার কিনা এটি যাচাই করার জন্য উক্ত নগদ একাউন্ট যে এনআইডি দিয়ে রেজিস্টার করা হয়েছে সেটির নাম্বার, নাম, পিতা-মাতার নাম, ঠিকানা এবং জন্ম তারিখ জিজ্ঞাসা করতে পারে। এসব তথ্য সঠিকভাবে দিলে তারা আপনার নগদ একাউন্টটি আনলক করে দিবে।
পাশাপাশি, সর্বশেষ কত টাকা লেনদেন করেছিলেন আপনার একাউন্ট থেকে এসব বিষয়ও জেনে নিতে পারে। সঠিক তথ্য দেয়ার মাধ্যমে একাউন্ট আনলক করে নিতে পারবেন। অতঃপর, *167# কোড ডায়াল করে নতুন পিন সেট করতে হবে। এভাবে, লক হয়ে যাওয়া নগদ একাউন্ট আনলক করতে পারবেন অনেক সহজেই।
নগদ একাউন্টের পিন ভুলে গেলে করণীয় কি?
নগদ একাউন্টের পিন ভুলে গেলে করণীয় হচ্ছে ভুল পিন এন্টার না করা। কারণ, ভুল পিন সর্বোচ্চ ৩ বার এন্টার করলে আপনার একাউন্টটি লক হয়ে যাবে। এরপর, আর কোনো লেনদেন করতে পারবেন না একাউন্ট আনলক না হওয়া অব্দি।
পিন কোড ভুলে গেলে কাস্টমার কেয়ারে কল দিতে হবে। কাস্টমার কেয়ার বা হেল্পসেন্টারের নাম্বার হচ্ছে – 16167 । এই নাম্বারে কল দিয়ে তাদেরকে জানাতে হবে যে আপনি আপনার একাউন্টের পিন ভুলে গেছেন। তাহলে, তারা সাধারণ কিছু প্রশ্ন করবে।
আপনার নগদ একাউন্টটি যে এনআইডি কার্ড দিয়ে রেজিস্টার করা হয়েছে সেটির নাম্বার। উক্ত এনআইডি কার্ডে থাকা ব্যক্তির নাম, পিতা-মাতার নাম এবং জন্ম তারিখ। এই তথ্যগুলো তাদেরকে দিতে হবে। পাশাপাশি, সর্বশেষ কত টাকা লেনদেন করেছিলেন আপনার একাউন্ট থেকে, এটিও জানাতে হবে।
তাহলে, তারা আপনার বিষয়টি যাচাই করবে। যদি সকল তথ্য সঠিক দিতে পারেন, তাহলে একাউন্টের নতুন পিন সেট করার অপশন দেয়া হবে। কল কেটে দিয়ে *167# কোডটি ডায়াল করে নতুন পিন সেট করে নিতে পারবেন। এই পদ্ধতিতে নগদ একাউন্টের পিন ভুলে গেলে নতুন করে পিন সেট করতে পারবেন।
নগদ একাউন্ট কোড ভুলে গেলে
নগদ একাউন্ট কোড ভুলে গেলে নগদের কাস্টমার কেয়ারে যোগাযোগ করতে হবে বা হেল্পসেন্টারে কল দিয়ে তাদেরকে এই বিষয়ে অবগত করতে হবে। অতঃপর, নগদ একাউন্ট সম্পর্কিত বেশ কিছু তথ্য দেয়ার মাধ্যমে আপনার নগদ একাউন্টের পিন রিসেট করতে পারবেন।
FAQ
নগদে কত ডিজিটের পিন দিতে হয়?
নগদ একাউন্টে ৪ ডিজিটের সিকিউরিটি পিন দিতে হয়। এই পিন মনে রাখতে হবে। কারণ, লেনদেন করার সময় এই পিনটি প্রয়োজন হবে।
নগদ এর কোড নাম্বার কত?
নগদ এর কোড নাম্বার হচ্ছে *167# । এই কোডটি ডায়াল করার মাধ্যমে
নগদ পিন কিভাবে পুনরুদ্ধার করব?
নগদ একাউন্টের পিন ভুলে গেলে পুনরুদ্ধার করার জন্য নগদ হেল্পসেন্টারে কল দিতে হবে। এরপর, তাদেরকে আপনার নগদ একাউন্ট সম্পর্কিত কিছু তথ্য দিতে হবে। তাহলে, নতুন পিন সেট করতে পারবেন।
সারকথা
নগদ একাউন্ট লক হলে করনীয় কী এবং নগদ একাউন্টের পিন ভুলে গেলে কিভাবে পিন রিসেট করতে হয় এই বিষয় নিয়ে বিস্তারিত জানতে পারবেন এই পোস্টে। যাদের নগদ একাউন্ট লক হয়েছে বা পিন ভুলে গেছেন, তারা পোস্টটি শুরু থেকে শেষ অব্দি পড়ুন।
এছাড়া, আমাদের ওয়েবসাইটে বিভিন্ন ব্যাংকের একাউন্ট চেক করার নিয়ম, একাউন্ট খোলার নিয়ম এবং ব্যাংকিং সংক্রান্ত বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রকাশ করা হয়ে থাকে। ব্যাংকিং, ব্যাংক লোন এবং মোবাইল ব্যাংকিং সংক্রান্ত তথ্য জানতে ওয়েবসাইটটি সম্পূর্ণ ঘুরে দেখার আমন্ত্রণ রইলো।